দেশের সব বড় বড় কর্মকর্তারা ছিল সুদীপের বাপ-দাদাদের হাতের পুতুল। লোকমুখে এমনও কথা শোনা যায় সুদীপের বাপ-দাদারা ছিল গ্যাংস্টার। কত মানুষ যে তারা খুন, গুম করেছে সেসবের কোনো হিসেব নেই। ভয়ে তাদের উপর কারোও কথা বলার সাহস নেই। কিন্তু এগুলো সবগুলোই লোকমুখে। এর সত্যতা যে কতটুকু সেটা অাসলে কেউ যানে না। কিন্তু হ্যা সুদীপের বাপ-দাদারা যে অান -অফিসিয়াল ভাবেই পুরো শহরটাকেই কন্ট্রোল করত সেটা অজানা কিছু না।
best golpo
কিন্তু সেসব এখন সবই রুপকথার গল্পের মত হয়ে গেছে। সুদীপের বাবা-দাদা এখন অার কেউই বেঁচে নেই। সুদীপের বিয়ের ২ বছর পরেই সুদীপের বাবা মারা যায়। সুদীপের বাপ-দাদা রাজনীতিবিদ হলেও সুদীপের ওইদিকে কোনো ইন্টারেস্ট ছিল না। তাইত সুদীপের বাবা নিজের পাওয়ার ব্যাবহার করে সুদীপকে ভাল একটা সরকারী চাকরি পাইয়ে দিয়েছিল। সুদিপের বাবা বেঁচে না থাকলেও সেই একই দাপট এখনও চাইলে সুদীপ দেখাতে পারে।
কিন্তু সুদীপ সেসবের উপর কোনো ইন্টারেস্ট দেখাই না। সুদীপ নেহাৎই ভাল একজন লোক। এখন নিজের এলাকার সুদীপকে সবাই সন্মানের চোখে দেখে। সুদীপকেই সবাই মান্যগন্য করে চলে। কোনো সমস্যা ঝামেলা হলে সবার প্রথমে সবাই সুদীপের কাছেই অাসে। সুদীপ যেটা বলে সবাই সেটাই মনে নেই। সুদীপের বাড়ীতে এখনও লোকাল রাজনীতিবিদ,,পুলিশ,,লোকাল গ্যাংস্টারদের মহড়া বসে। best golpo
সবাই সুদীপকেই এখনও মেনে চলে৷ প্রথম প্রথম সুদীপের এসব ভাল না লাগলেও অাস্তে অাস্তে এসবের প্রতি একটা ভালবাসা কাজ করে। কারণ সুদীপের শরীরে যে তার বাপ দাদারই রক্ত বইছে। অার পাওয়ার বলেও একটা জিনিস অাছে,, যেটা অর্জন করতে গেলে সবার বছরের পর বছর লেগে যাই। কিন্তু সুদীপ সেই পাওয়ার টা বাপ-দাদাদের সম্পত্তি হিসেবেই পেয়েছে৷ এখন সুদীপ চাকরির পাশাপাশি নিজের এলাকাটাকেও কন্ট্রোল করে রাখে। কিন্ত সেটা ভয়ভীতি দেখিয়ে না। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমী হয়েই। সেইজন্যই তো সবাই সুদীপকে সন্মানের চোখে দেখে।
অঞ্জলির পরিচয়- অঞ্জলি ছিল একজন সাদাসিধা গ্রাম্য মেয়ে। কিন্তু তার রুপের বাহার সবাইকে পাগল করে তুলত। দুধে ধোঁয়া সাদা ধবধবে চেহার। তার চিকন ফিগার যে কোনো পুরুষের মনে ঢেও তুলে দিত। প্রথম বার অঞ্জলিকে সুদীপের বাবা দেখেছিল। ওই গ্রামে রাজনৈতিক একটা কাজে সুদীপের বাবা প্রায় দুদিন ছিল। তখনই অঞ্জলিকে দেখে সুদীপের বাবা সুদীপের জন্য ঠিক করে ফেলে। অঞ্জলির বাবা মাও না করতে পারে নি। best golpo
এত বড় পরিবারের ছেলে যে তাদের মেয়েকে সামনে থেকে এসে নিতে চাইবে,, সেটা অঞ্জলির বাবা-মায়ের সপ্নের মত ছিল। তাই একবিন্দু দেরী না করেই অঞ্জলির বাবা মা রাজি হয়ে যায় সেই বিয়েতে। অঞ্জলি যখন প্রথম সুদীপদের বাড়ী অাসে তখন তাদের রাজকীয় জীবনযাপন দেখে অঞ্জলি খুশিতে অাত্মহারা হয়ে পড়ে। ঠিক এমন একটা পরিবারই চেয়েছিল অঞ্জলি। কিন্তু তার মনে একটা ভয় ছিল এই বড় পরিবারে অাদৌ সে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে তো। অাস্তে অাস্তে অঞ্জলি সবকিছু মানিয়েও নিয়েছে।
এখন অঞ্জলি অার সুদীপের সুখের সংসার। বিয়ের প্রথম প্রথম সুদীপ অঞ্জলিকে নিয়ে সবসময় রুমে দরজা বন্ধ করে থাকত। অঞ্জলিকে দেখে সবাই বলত যে একটা রাজকন্যা এসেছে বাড়ীতে। প্রথম প্রথম সুদীপ দিনরাত সেক্স করত। অাস্তে অাস্তে সেটার পরিমাণ কমে যায়। সুদীপ এখন অঞ্জলিকে বেশী সময় দিতে পারে না। সরকারী বড় কর্মকর্তা হওয়ার কারণে কাজের চাপটা একটু বেশীই। অাবার অফিস থেকে এসে রাজনৈতিক কাজে ব্যাস্ত থাকার কারণে বেশী সময় অঞ্জলির সাথে কাটাতে পারে না। best golpo
কিন্তু এতে অঞ্জলির বিন্দুমাত্র অাক্ষেপ নেই। ১ বছর অাগেই তাদের কোলজুড়ে একটা রাজকুমার এসেছে। তারা তার নাম রেখেছে অভি। তাকে সামলাতে সামলাতেই অঞ্জলির দিন কেটে যায়। তারপর বাড়ীতে অাসা অতিথিদের সাথেও অঞ্জলির সম্পর্কটাও বেশ ভাল। বাচ্চা হওয়ার পর এখন অঞ্জলির চেহারাতেও গৃহবধূ গৃহবধূ ছাপটা চলে এসেছে। ৩৮ সাইজের অল্প একটু ঝুলে পড়া দুধ। ৪২ সাইজের পাছা অার ৩২ এর পাতলা কোমর যে কোনো পুরুষকে কামউত্তেজক করে তুলে।
রাজনৈতিক কাজে অাসা লোকজনের চোখ সবসময় অঞ্জলির দিকেই ঘুরে বেড়াই। যে কোনো কিছুর বাহানাই অঞ্জলির সাথে সবাই খুব কাছে গিয়ে কথা বলতে চাই। অঞ্জলির মনটা বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে ছোট থেকে বয়স্ক, লোক্লাস থেকে হাইক্লাস সবার সাথেই অন্জলি খুব সুন্দর সাবলীলভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে। কিন্তু এসব বাহানায় সেসব লোক অঞ্জলির শরীরটাকে চোখ দিয়ে ধ*ণ করে। কিন্তু এর বেশী কেউ কখনও সাহস পাই নি। best golpo
অঞ্জলি অার সুদীপ অার অভি ছাড়াও এই বাড়ীতে অারোও একজনের বসবাস। তিনি হলেন কমলা। অঞ্জলি অার সুদীপ মাসি বলেই ডাকে। অনেক পুরোনো কাজের মানুষ। ৩০ বছর ধরে এই বাড়ীতেই কমলা অার ওর বর কাজ করত। বরের মৃত্যুর পর কমলাই এখনও এখানে রয়ে গেছে। কমলার বয়স প্রায় ৫০ এর কাছাকাছি। বাড়ীর সব কাজকর্ম কমলায় করে। অার একজন অাছে যার যাতায়াত এই বাড়ীতে খুব বেশী।
তার নাম রয় সেন। সুদীপের বাবার ডান হাত ছিল এই রয় সেন। যত অপকর্ম সুদীপের বাবার কথায় হত সব কিছুই এই রয় সেন পরিচালনা করত৷ এখনও রয় সেনকে দেখলে অনেকে ভয়ে হুস হারিয়ে ফেলে। এই রয় সেনই এখন সুদীপের অনেক কাছের লোক। কারণ রয় সেন না থাকলে সুদীপ এত কিছু একা সামলাতে পারত না৷ সুদীপের বাবার মৃত্যুর পরই রয় সেন সুদীপের মাথার উপর ছায়া হয়ে রয়েছে। best golpo
সুদীপ অার অঞ্জলি রয় সেন কে রয়কাকা বলে ডাকে। অার পুরো এলাকাতেই সবাই রয়কাকা নামেই চেনে। ছোট থেকে বড় সবাই তাকে রয় কাকা বলেই ডাকে। বয়স ৬০ বছর কিন্তু দেখতে অনেক হাট্টাকাট্টা। সাড়ে ৬ ফুট লম্বা। মাথার পুরোটায় টাক। কালো কুচকুচে। শরীরে অনেক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ফুটো। সুদীপের পরিবারের শত্রুদের সামনে রয়কাকা একজন ভয়ভয়ংকর লোক। ৬০ বছর বয়স হলেও তার চলাফেরা দেখলে মনে হয় ৪০ বছরের কোনো যুবক।
সুদীপের পরিবারের অনেক শত্রুও রয়েছে। তার ভিতর অন্যতম হল খান পরিবার। এই পরিবারের মুখ্যপাএ হল বাহাদুর খান। বয়স ৭০। কালো কুচকুচে। বয়সের জন্য এখন একটু নেতিয়ে গেছে। তার ছেলে লায়ন খান। বয়স ৫০। বাপের মতই কালো কুচকুচে। ভয়ংকর চেহারা। লায়ন খানের ডানহাত হল জিয়া। ৪০ বছরের ভয়ংকর খুনি। গায়ের রং শ্যামলা। best golpo
সুদীপের পরিবারের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব সেই বহু বছর অাগে থেকেই। এলাকা দখল,,রাজনীতি সবকিছু নিয়েই তাদের দ্বন্দ্ব। তাদের এরকম শত্রুতামির কারণে বলি হয়েছে অনেক নিরিহ মানুষ। খান পরিবারের বাড়ীও একই শহরে। এই শহরের অর্ধেক লোক খান পরিবারের কথায় উঠবস করে। অার বাকি লোক দত্ত পরিবারের কথায়। সুদীপদের পরিবারের পদবী হল দত্ত।
এখনও তাদের দ্বন্দ্ব অারোও চরম পর্যায়ে পৌছে গেছে। শহরটাকে তারা দুইভাগ করে ফেলেছে। এই এলাকার লোক ওই এলাকায় গেলে মারা পড়ে। অার ওই এলাকার লোক এই এলাকায় এলে মারা পড়ে। কিন্তু সুদীপ এসব মারামারি কাটাকাটি অার চাই না৷ সুদীপ শান্তি চাই। কিন্তু খান পরিবার শান্তিচুক্তি করতে কখনই রাজি না। খান পরিবারের একটাই লক্ষ্য সেটা দত্ত বাড়ীর বউ অঞ্জলিকে নিজেদের রক্ষিতা বানানোর৷ অবশ্য এর পিছনে একটা কারণ অাছে। অাজ থেকে অনেক বছর অাগের লায়ন খানের বিয়ের দিন। best golpo
সুদীপের বাবা খান বাড়ীতে একটা হামলা চালায় সেই হামলায়। বাহাদুর খানের বউ অার লায়ন খানের সদ্য বিবাহিতা বউ মারা যায়। সেই থেকে লায়ন খান কখনও বিয়ে করে নি। তখনই লায়ন খান সিদ্ধান্ত নেই দত্ত বাড়ীর ছেলে সুদীপ দত্ত যখন বিয়ে করবে তারপর ওই বউকেই তারা খান বাড়ীর রক্ষিতা বানাবে। সেই টার্গেট করেই খান বাড়ীর লোকেরা অাছে। ৫ বছর ধরে অনেক ট্রাই করা হয়েছে অঞ্জলি দেবীকে কিডন্যাপ করার কিন্তু সবসময়ই খান বাড়ীর লোকেরা ব্যর্থ হয়েছে। তাই খান বাড়ীর ছেলে লায়ন খান এখন অন্য ফন্দি অাটছে।
এটা একটা জাস্ট ইন্ট্রো পর্ব ছিল। গল্পটা মুলত টর্চার টাইপের হবে। অার নারী ক্যারেক্টর অন্জলি অার দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের উপরেই গল্পটার থিম।
নিয়মিত অাপডেট দেওয়া হবে।