তাকে এখানে রুলস আর রেগুলেশন এর মধ্যে দিয়ে চলতে হয়. তিনি সচ্ছল ভাবে এখানে কাজ করতে পারছিলেন না. কারণ তার মনে সেবা করার ভাবনাটা এখনো রয়ে গেছেন. তিনি তার স্ত্রীকে বলেন : স্নিগ্ধা, যদি সবাই শহরে ডাক্তারি করে…. তাহলে গ্রামের ওই গরিব লোক গুলোর কি হবে বলতো?
স্নিগ্ধা বলে : তুমি একদম ঠিক কিন্তু এখানে তোমার অনেক সুযোগ আছে যেটা ওখানে নেই.
voutik choti
স্নিগ্ধা, দুই সন্তানের জননী. প্রথম জন আট বছরের আর দ্বিতীয় জন এখনো দুধপান করে. অর্ণব আর সুজয়. অর্ণব বড়ো. তাদের মা অসাধারণ রূপের অধিকারিণী. দুই সন্তানের মা হয়েও শরীরে কোনো সৌন্দর্যের অভাব নেই. রমলা দেবী যখন অনিমেষ বাবুকে স্নিগ্ধার ছবি দেখিয়ে ছিল ওই টানা টানা চোখ দেখেই অনিমেষ বাবু হা বলে দিয়েছিলেন. তারা দু পক্ষই বড়ো ঘরের. আজ স্নিগ্ধা আর অনিমেষ বাবু সুখী দাম্পত্য জীবনের অধিকারী কিন্তু তারা জানতেন না এই সুখী জীবনের ওপর নেমে আসবে কালো ছায়া, তাদের দাম্পত্য জীবনে নজর পরতে চলেছে কালো এক ছায়ার.
অনিমেষ বাবু একদিন ঠিক করে ফেললেন না…. আর নয় এইভাবে আর চলতে পারেনা. জীবনে স্বার্থ, অর্থ থেকেও সেবা বড়ো. তিনি এই শিক্ষা তার দাদুর থেকে, বাবার থেকে পেয়ে এসেছেন. তাই তিনি একদিন তার এক বন্ধুরা প্রতুল কে তার মনের কথা বলেই ফেললেন. প্রতুল তাকে জানালো সে যদি চায় তাহলে সে তার মনের ইচ্ছা পূরণ করতে পারে. অনিমেষ বাবু তো হাতে চাঁদ পেলেন. তিনি প্রতুল কে বললেন তিনি রাজি. গরিব মানুষ গুলোর সেবা করে তার আত্ম তৃপ্তি. টাকা পয়সার কোনো অভাব কোনো দিনই ছিলোনা অনিমেষ বাবুর. তাই সেবাতে নিজের মন দিতে চান. voutik choti
নিজের শিক্ষাকে সেবার কাজে লাগাতে চান. প্রতুল তার কথা শুনে বললো : ভাই…. তোর মতো যদি সব ডাক্তার হতো তাহলে……… থাক…. তুই যখন এটাই চাইছিস তখন আমার জানা একটা গ্রাম আছে. ওখানে কোনো ডাক্তার থাকতে চায়না… আসলে সবাই শহরকে আপন করতে চায়. তাই আগের ডাক্তারও দিয়েছে লম্বা. তা তুই ওখান দিয়েই নিজের যাত্রা শুরু কর. অনিমেষ বাবু তো এককথায় রাজি. কিন্তু বাসস্থান তো দরকার, সেই ব্যাপারে প্রতুল কে জিজ্ঞাসা করাতে সে বললো : কোনো অসুবিধা নেই. ওইগ্রামে আমার এক বন্ধুর একটা জমিদার বাড়ি আছে. যদিও সেই বাড়ি আজ পরিত্যক্ত.
কিন্তু আমি ওকে বলবো যাতে ও ওখানকার সব কিছু পরিষ্কার করিয়ে রাখে. আসলে ওদের পরিবারই একটা ছোট হাসপাতাল খুলে ছিল কিন্তু ঐযে সব ডাক্তার শহরে পালিয়ে যায়. এবার তুই ভেবে দেখ. অনিমেষ বাবু বললেন সব ব্যাবস্থা যখন হলোই তখন তুই তোর বন্ধুরা সাথে কথা বলে দেখ. দু দিন বাদে ওই বন্ধুর সাথে প্রতুল অনিমেষ বাবুর দেখা করিয়ে দিলেন. তার নাম অঞ্জন ভট্টাচার্য. তিনি বললেন জমিদার বংশের সন্তান তিনি কিন্তু তার জন্ম শহরেই. তিনি নিজে কয়েকবার মাত্র গেছেন ওই গ্রামে. তবে তার বাবার ওই গ্রামে অনেক influence আছে. তাই তার এক কোথায় গ্রামের লোকেরা সব ঠিক থাক করে দেবে. voutik choti
অঞ্জন : সত্যি আপনার মতো মানুষকে আমি খুজছিলাম. গ্রামের হাসপাতালটা পড়ে আছে, কেউ দেখার নেই. আপনি থাকলে ভালোই হবে. আপনার থাকা খাওয়ার কোনো অসুবিধা হবেনা. পুরো বাড়িটাই আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন. কিন্তু………
অঞ্জন বাবুর কিন্তু শুনে আর একটু চিন্তিত মুখ দেখে অনিমেষ বাবু বললেন : কি হলো অঞ্জন বাবু? একটু চিন্তিত মনে হচ্ছে?
অঞ্জন : আসলে ব্যাপারটা কিছুই নয়. আমরা শহুরে লোক. আমরা যদিও এসব মানিনা. আমার বাবাও মানেনা. কিন্তু গাঁয়ের লোকেরা বলে বাড়িটাতে নাকি গোলমাল আছে.
অনিমেষ : গোলমাল? কি গোলমাল মানে চুরি টুরির কথা বলছেন?
অঞ্জন : আরে না দাদা….. আসলে লোকে বলে বাড়িটা নাকি Haunted. অনেক আওয়াজ ভেসে আসে নাকি….. যদিও আমি ঐসব ফালতু কোথায় কান দিনা. গ্রামের অশিক্ষিত কিছু লোকের ভুলভাল চিন্তাধারা. তবু আপনাকে এই ব্যাপারটা জানানো উচিত বলে আমি বললাম. আপনার কোনো অসুবিধা থাকলে……… voutik choti
অনিমেষ বাবু অট্টহাসি হেসে উঠলেন. এইসব নিম্নমানের ব্যাপার তিনি মাথাতেই আনেননি. তিনি ভেবেছিলেন বোধহয় গ্রামে চুরি ডাকাতি হয়. তিনি অঞ্জন বাবুকে জানিয়ে দিলেন ঐসব প্রাগৈতিহাসিক চিন্তাধারাতে তার বিশ্বাস নেই. তিনি বিজ্ঞান জগতের মানুষ. তিনি স্পষ্ট ভাবে অঞ্জন বাবুকে জানিয়ে দিলেন তার কোনো অসুবিধা নেই ওই বাড়িতে থাকতে. এতো বড়ো একটা বাড়ি পাওয়া যাবে সেখানে তিনি ভালোই থাকবেন. সব কথার শেষে ঠিক হলো ওই বাড়িতেই থাকা হবে. হায়রে….. মানুষ মাঝে মাঝে এমন কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে যার ফলাফল হয় ভয়ানক.
তার এই সিদ্ধান্তের কথা যখন তিনি বাড়িতে জানালেন তখন প্রথমে সবাই আপত্তি করলো. বিশেষ করে স্নিগ্ধা. সে অনিমেষ বাবুকে বোঝালো কিন্তু তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল. ছোট থেকেই তার মধ্যে সেবা করার একটা ইচ্ছা ছিল আজ সেই সুযোগ পেয়েও তিনি ছেড়ে দেবেন. না কখনোই নয়. শেষ মেশ এটাই ঠিক হলো তিনি যাবেন. এই ব্যাপারে তপন বাবু অর্থাৎ ওনার পিতাও একমত হলেন. তিনিও পরোপকারী মানুষ. ঠিক হলো অনিমেষ বাবু আগে গিয়ে সব সাজিয়ে গুছিয়ে নেবেন. তারপর তিনি সপরিবারে সেই বাড়িতে যাবেন. কিন্তু অনিমেষ বাবুর স্ত্রী স্বামীকে ওই অচেনা জায়গায় একা ছাড়বেনা. voutik choti
আবার ওনার বাবা মায়ের যাওয়া হবেনা. তাদের বেশি বাইরে ঘোরা ঘুরি মানা. তাই ঠিক হলো যে কটা মাস তিনি ওই গ্রামে সেবা করবেন সেই কটা দিন তারা তাদের ছোট ছেলের কাছে চলে যাবেন. ওদিকে অর্ণব এর স্কুলে কয়েকদিন পরেই ছুটি পড়বে. গরমের ছুটি. তখনি রওনা হওয়া যাবে. তাহলে সবাই যেতে পারবে একসাথে. অনিমেষ বাবু সেই মতো বড়ো কর্তাদের জানালেন. সেখানকার বড়ো একজন তাকে সাহায্য করলো তাকে সব কাজে. ঠিক হলো যাত্রার দিন. অঞ্জন বাবুও সস্ত্রীক বাচ্চাদের নিয়ে একেবারে অনিমেষ বাবু কে নিয়ে একবার ঘুরে আসবেন বাড়িটা থেকে. নিজেও দেখে আসবেন বাড়িটা.
এসে গেলো সেইদিন. অনিমেষ বাবু স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাবা মাকে প্রণাম করে বেরিয়ে পড়লেন ওই বাড়ির পথে. স্টেশনে গিয়ে দেখলেন অঞ্জন বাবু সঙ্গে একটা বাচ্চা. বোধহয় ওনার ছেলে. এগিয়ে গিয়ে পরিচিত হলেন একে ওপরের সাথে. অঞ্জন বাবু বললেন তার স্ত্রীয়ের শরীরটা একটু খাড়াপ তাই তিনি ছেলেকে নিয়েই এসেছেন. তারা ট্রেনে গিয়ে বসলো. দুই বাচ্চা একসাথে বসলো. অঞ্জন বাবুর ছেলের নাম চয়ন. চয়ন আর অর্ণব দ্রুত বন্ধু হয়ে গেলো. ওরা গল্প করতে লাগলো. voutik choti
বড়োরাও গল্প করতে লাগলো. দীর্ঘ 4 ঘন্টার পথ. স্টেশনে যখন গাড়িটা থামলো তখন সন্ধে 6 টা বেজে গেছে. স্টেশনে আগেই বলা ছিল. লোক আগেই ওনাদের নিতে এসেছে. অর্ণব দেখলো একজন বুড়ো লোক সঙ্গে দুজন কুলি. অঞ্জন বাবু পরিচয় করিয়ে দিলেন ওনার সঙ্গে. উনি গ্রামের একজন বিশিষ্ট মানুষ. নাম জগবন্ধু দাস. ওনার সঙ্গে অঞ্জন বাবুর বাবা মিলেই ওই হাসপাতাল বানিয়ে ছিলেন.
জগবন্ধু বাবু বললেন : এই গ্রামে নিজের থেকে যে কোনো ডাক্তার আসবে সেটা তিনি ভাবতেই পারেননি. তিনি বললেন আজতো সন্ধে হয়ে গেছে তাই কাল অনিমেষ বাবুর উদ্দেশে একটি স্বাগতম অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে. ওই একটু বক্তৃতা আর ওনার সম্মানে একটু মিষ্টি বিতরণ. জগবন্ধু বাবু কুলিদের বললেন সব মল পত্র ঠিক মতো গাড়িতে তুলে দিতে . তিনি আগেই গরুর গাড়ির ব্যবস্থা করে রেখে ছিলেন. তিনি সকলকে নমস্কার বলে চলে গেলেন. সবাই দুটো গরুর গাড়িতে চড়ে আসতে লাগলেন. voutik choti
10 মিনিটের মধ্যেই তারা ওই বাড়িটাতে পৌঁছে গেলেন. বাড়িটা বিশাল কিছু না হলেও বেশ বড়ো. তিন তলা. টিপ টিপ করে হারিকেনের আলোয় জানলা গুলো আলোকিত. অঞ্জন বাবু নেমে হাঁক পারলেন. আর দুইজন লোক বেরিয়ে এলো. একজন মেয়েমানুষ আরেকজন লম্বা করে লোক. অঞ্জন বাবু ওনাদের সঙ্গে অনিমেষ বাবুর পরিচয় করিয়ে দিলেন.
মেয়েমানুষটির নাম মালতি আর লোকটি তার বর তপন. দুজনেই পেন্নাম করলো তাদের. অর্ণব দেখলো তপন লোকটি কেমন করে যেন তার মায়ের দিকে চেয়ে আছে. ওর মা লক্ষ্য করছেনা কারণ সে অনিমেষ বাবুর সঙ্গে কথা বলছে. তপন ওদের মল পত্র নিয়ে এগিয়ে যেতে লাগলো আর পেছনে ওরা. মালতি ওদের জন্য কিছু জল আর খাবারের ব্যবস্থা করতে গেলো.
স্নিগ্ধা ওনার স্বামীকে বললো : বাব্বা….. জায়গাটা কি থম থমে গো. আসে পাশে সেইরকম বাড়ি ঘোরও নেই. ভাগ্গিস ইলেকট্রিক ব্যবস্থা আছে. নইলে এই জায়গাতে থাকতে কি করে? voutik choti
অঞ্জন বাবু হেসে বললো : আসলে বৌদি কি এই বাড়িতে কেউতো থাকতো না…… ওই মালতি আর ওর বর বাড়ির থেকে দূরে ওই গ্রামে থাকে. আপনাদের জন্যই ওদের ডেকে পাঠালাম. ওরাই আমাদের বাড়িটার দেখভাল করে. আমরা যখনি আসি ওরাই আমাদের রান্না বান্না করে দিতো. তবে ওদের আমি বলে দিয়েছি এলং থেকে এই বাড়ির নিচেই থাকতে হবে. আপনাদের নতুন জায়গাতে তো এইভাবে একা ছেড়ে দিতে পারিনা. চলুন….
ওনাদের ওপরে দোতলায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে. অর্ণব দেখলো চয়ন কেমন করে ঘরটা দেখছে. যেন কিছু একটা ভয় পাচ্ছে. দোতলায় মাল পত্র রেখে সবাই বাইরে বারান্দাতে বসলো. একটু পরেই মালতি কিছু নিমকি আর মিষ্টি নিয়ে এলো. অঞ্জন বাবু জিজ্ঞেস করাতে মালতি বললো রাতের জন্য মুরগি আর লুচির ব্যবস্থা করা হয়েছে. সবাই বসে গল্প করতে লাগলো. চয়ন আর অর্ণব খেলতে লাগলো. দুজনে কম সময়েই বন্ধু হয়ে গেছে.
স্নিগ্ধা : বুবাই (অর্ণবের ডাক নাম) পরে খেলবে আগে খেয়ে নাও. voutik choti
তারা খেলা ছেড়ে খেতে লাগলো নিমকি. গল্প করতে করতে রাত 10 টা বেজে গেলো. মালতি বললো খাবার ব্যাবস্থা করা হয়েছে. সবাই নীচে রান্না ঘরের পাশে খাবার ঘরে গেলো. সেখানে একটা পুরোনো খাবার টেবিল আছে. আর 4টা চেয়ার. বাচ্চারা দাঁড়িয়ে খেলতে খেলতে খেতে লাগলো. স্নিগ্ধা বুবাই কে খাইয়ে দিচ্ছে ওদিকে অঞ্জন বাবু চয়ন কে. মালতি বেশ ভালোই রান্না করে. খাবার পর অঞ্জন বাবু নিচ তোলাটা ওদের ঘুরিয়ে দেখালো. একটা ঘরে ওই মালতি আর তপন. আর বাকি ঘোর গুলোতে পুরোনো মল পত্র.
অনিমেষ বাবু অঞ্জন বাবুকে বললেন : এই বাড়ি কার বানানো?
অঞ্জন বাবু একটা সিগারেট ধরালেন আর বললেন : আমার দাদুর দাদু. অমর ভট্টাচার্য. লোকটা বেশ দিল দরিয়া ছিল…. কিন্তু তার ছেলে একেবারে বিপরীত.
অনিমেষ : মানে?
অঞ্জন : সে কালকে বলব. আজ অনেক খাটাখাটনি গেছে. বৌদি বাচ্চার নিশ্চই ঘুম পেয়েছে. চলুন…. চলুন. voutik choti
সবাই উপরে উঠে এলো. তখনি কোলের বাচ্চাটা কেঁদে উঠলো. স্নিগ্ধা অনিমেষ আর অঞ্জন বাবুকে শুভরাত্রি বলে ঘরে চলে গেলো. তাকে এখন বাচ্চাটাকে দুধ খাওয়াতে হবে. বাচ্চারা অঞ্জন বাবুর ঘরটাতে বসে একটা ফুটবল নিয়ে. বাইরে তাদের বাবারা সিগারেট টানছে আর গপ্পো / আড্ডা মারছে. অর্ণব দেখলো চয়ন তাকে কিছু একটা বলতে চাইছে কিন্তু কেন যেন চেপে যাচ্ছে. তখনি স্নিগ্ধা ঘর থেকে ওদের শুতে আসতে বললো. অনিমেষ বাবু অঞ্জন বাবুকে শুভরাত্রি বলে ছেলেকে নিয়ে চলে এলো ঘরে.
সারাদিন যাত্রার ধক এ সবাই ক্লান্ত. জামা কাপড় বদলে সবাই শুয়ে পরলো. স্নিগ্ধা আগেই শাড়ি পাল্টে একটা ম্যাক্সি পরে নিয়েছে. সবাই শুয়ে পরলো. আর একটু পরেই ঘুম. রাত গভীর. বাইরে শেয়াল ডাকছে. জানলা দিয়ে চাঁদের আলো ঘরে ঢুকে ঘর আলোকিত. পাখা ঘুরছে. খাটের দুপাশে অনিমেষ আর স্নিগ্ধা. মাঝখানে দুই সন্তান. হটাৎ বুবাইয়ের ঘুমটা কেন যেন ভেঙে গেলো. voutik choti
ও চোখ খুলতেই দেখলো কে যেন ওর ডান পাশে দাঁড়িয়ে. ওই পাশেই ওর মা ঘুমোচ্ছে. বুবাই একটু নড়ে উঠতেই আর কিছু দেখতে পেলোনা. ও ভাবলো চোখের ভুল তাই আবার চোখ বুজলো. ওদিকে পাশের ঘরে চয়ন ঘুমিয়ে তার বাবার সাথে. তারা কালকেই চলে যাবে সন্ধে বেলায়. চয়ন তাড়াতাড়ি মায়ের কাছে যেতে চায়. সে এইবাড়িতে বেশিক্ষন থাকতে চায় না.